ইয়াছিন আরাফাত
স্টাফ রিপোর্টার
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আহত ও শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ন্যাশনালিস্ট কনসার্ন পার্টি (এনসিপি)। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বুধবার (৬ আগস্ট) জোহরের নামাজের পর উপজেলার ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে একযোগে এই দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলার অন্তত ৫০টিরও বেশি মসজিদে একযোগে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতারা
চান্দিনার পরচংগা গ্রামের স্থানীয় জামে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক আবুল কাশেম অভি। নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন—
“এই দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, আমরা তাঁদের ভুলিনি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যারা দেশের জন্য সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তাদের স্মরণ করাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন—
“এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা এখন থেকে প্রতিবছরই শহীদদের স্মরণে এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করবো। আমরা বিশ্বাস করি, এই শ্রদ্ধা ও দোয়ার মধ্য দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব।”
সাধারণ মুসল্লিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
দোয়া মাহফিলে শুধু এনসিপির নেতাকর্মীরাই নয়, স্থানীয় মুসল্লিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণও ছিল লক্ষ্যণীয়। নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ মুসল্লি আব্দুল মালেক বলেন—
“এই প্রজন্ম যখন নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে শহীদদের জন্য দোয়া করে, তখন মনে হয় দেশের ভবিষ্যৎ এখনও আশার আলোয় ভরা। এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।”
উপজেলা জুড়ে একযোগে দোয়া
চান্দিনা সদরের পাশাপাশি তেতৈয়া, মাধাইয়া, মাইজখার, বাতাঘাসি, নবাবপুর, গল্লাইসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এনসিপির নেতাকর্মীরা মসজিদভিত্তিক দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। অনেক মসজিদে শহীদদের স্মরণে পানি ও মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়।
সামনে আরও কর্মসূচি
চান্দিনা উপজেলা এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু দোয়া মাহফিল নয়—আগামী দিনে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি এবং গরিব পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এনসিপির এই মানবিক ও মূল্যবোধভিত্তিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে।