ইয়াছিন আরাফাত
স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চান্দিনায় ভেজাল পানীয় ও যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরির কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ধ্বংস করা হয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ভেজাল ও নকল পণ্য।
রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দিনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের হারং গ্রামে ‘স্বপ্ন ভিলা’ নামের দোতলা ভবনের প্রথম তলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে ‘ইহান ফুড এন্ড বেভারেজ’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে নকল সীলযুক্ত কোমল পানীয়, ভেজাল লাচ্ছি, ফ্রুটো এবং যৌন উত্তেজক সিরাপ উৎপাদন করছিল।
অভিযানে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী খায়রুল ইসলাম ও সহযোগী মোহাম্মদ আল আমিনকে আটক করা হয়। তবে কারখানার মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযান পরিচালনা করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের মেজর বরকতুল্লাহ আহমেদ মাহমুদুর রহমান এবং চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নূর।
অভিযানে ৫,০০০ বোতল অবৈধ কোমল পানীয়, ৫,০০০ বোতল ভেজাল লাচ্ছি, ৫,০০০ বোতল নকল ফ্রুটো, ৪,০০০ বোতল যৌন উত্তেজক জিনসিং সিরাপ, ৩,০০০ বোতল ভেজাল লিচু ড্রিংকো, ২০ কেজি রাসায়নিক রং, ২০ কেজি সেকারিন, ৩০ কেজি লিকুইড জেলি, ১০ কেজি মিশ্রি, ২০ ঘন চিনি এবং ২টি মেশিন জব্দ করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ভেজাল ও নকল পণ্যগুলো বুলডোজারের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক দুই আসামিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নূর বলেন, “জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
স্থানীয়রা জানান, বহুদিন ধরে স্বপ্ন ভিলার ভেতরে অবৈধভাবে এনার্জি ড্রিংক ও যৌন উত্তেজক সিরাপ তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। যৌথ বাহিনীর অভিযানের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।