ইয়াছিন আরাফাত
স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকায় আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সজিব (২০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা র্যাব-১১ এর শাকতলা ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
তিনি বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের মোস্তফাপুর এলাকায় বালুর নিচ থেকে আমিনুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি হাসুয়া, রক্তমাখা একটি লুঙ্গি ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সজিব চান্দিনা উপজেলার বদরপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাব জানায়। তাকে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে প্রতারণা
র্যাব জানায়, পলাতক আসামি সিরাজ (২৫) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আমিনুলের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সিরাজের সহযোগী সজিবসহ কয়েকজন মিলে আমিনুলকে মোস্তফাপুরের একটি উঁচু জমিতে ডেকে নেয়। সেখানে তাকে গলায় কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বালুর নিচে চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
নিহতের পরিচয় ও পরিবারের দাবি
আমিনুল ইসলাম (২৫) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের আলী আজ্জমের একমাত্র ছেলে। তিনি তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিলেন। বাবার সঙ্গে অটো রাইস মিল ও নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার ইউরোপ যাওয়ার কথা ছিল।
নিহতের চাচা আব্দুল কাইয়ুম জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ব্যবসার কাজে সিলেট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিনুল। বুধবার রাতে বাবার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা বলেন তিনি। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।
আমিনুল পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : ইয়াছিন আরাফাত, মোবাইল : ০১৭৯৫-৬২৬২৪০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত